স্টাফ রিপোর্টার:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সোনারামপুরে অটোমেটিক রাইস মিলের ছাই ও কালো ধোয়া বাতাসের মিশে জনজীবন বিপন্ন করে তুলছে। এতে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এই এলাকার বসবাসকারীরা। উপজেলার সোনারামপুরে প্রায় ১০হাজার মানুষ বসবাস করছেন। ছাই ও কালো ধোয়া বন্ধের দাবিতে সোনারামপুর এলাকাবাসীর প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোনারামপুর গ্রীন হাউজ বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফর আলীর সভাপতিত্বে ও হাজী হেলাল শিকদারের পরিচালনায় অটোমেটিক রাইস মিলের ছাই ও কালো ধোয়ায় ভোক্তভোগীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাজী নাছির মিয়া, সোহরাব তালুকদার, হাজী শামিম শিকদার, হাজী শহিদ মিয়া, কবীর শিকদার, হাজী শফিকুল ইসলাম, হাজী শমসের মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার রাহিম, জামাল উদ্দিন, শাকিল মিয়া, নবী হোসেন, মানিক মিয়া, মিজান মিয়া ও স্বপন মিয়া সহ সোনারামপুর এলাকার বিশিষ্ট জনরা।
সভায় বক্তারা বলেন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই ছাই ও ধোয়া অপসারণ করা না হলে মানববন্ধনসহ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন। সভায় ভোক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সোনারামপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন অটোমেটিক রাইস মিল থেকে কালো ধুয়া, ছাই ও ধানের তোষ বাতাসের সাথে মিশে বাসা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে জনসাধারণের জীবন বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে অটোমেটিক রাইস মিলের ছাই ও কালো ধোয়ায় প্রতিনিয়ত সর্দি, কাশি, এ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টসহ বায়ু ধুষিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার শিশু, বয়স্করা সহ আরও অনেকে।
ছাই ও তুষ বাতাসের সাথে মিশে বসতঘরে ও রান্নাঘরে আসছে। দিনের বেলাও ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হয় সবসময়। ঘরের বিছানা, মেজো, মসজিদ ও ওযুখানা ছাইয়ের স্তর পড়ে যায় প্রতিনিয়ত। বড় বড় আবাসনের ভাড়াটিয়ারও ছাই ও ধোলার কারনে বিল্ডিং ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এলাকাবাসী দ্রুত এই ছাই ও কালো ধোয়া অপসারণ ছাই ও সুন্দর মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে চাই