স্টাফ রিপোর্টার:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়নের বেকার মার্কেট এলাকায় একই পরিবারের বাবা ও ছেলেসহ ২ জন শাররীক ও মানষিক প্রতিবন্ধী কষ্টে জীবনযাপন করছেন। অভাব-অনটনের কারণে ওই পরিবারের আর কোন সদস্য না থাকায় চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। একবেলা খেলে অন্যবেলা তাদের উপোস থাকতে হয়। অন্য কিছু নয়, শুধুমাত্র সবার সহযোগিতা নিয়ে দুই বেলা খেয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন তারা। কিন্তু তাদের কাছে সে স্বপ্ন এখনো ধরা ছুয়ার বাহিরে। নিত্য অভাব নিয়ে এখন তারা জীবন কাটাচ্ছেন।
এলাকাবাসির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার সাভিয়ানগর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের নেকবর আলী প্যারালাইজড হয়ে এখন শাররীক প্রতিবন্ধী। তার একমাত্র ছেলে আল আমিন ও শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তিনি বর্তমানে আশুগঞ্জ বাজার বেকার মার্কেট এলাকায় বড়ভাই শুক্কুর আলীর সংসারেই থাকেন। নেকবর আলী ও তার ছেলের মুখে দুই বেলা খাবার দেওয়ার শেষ সম্বল ছিলেন প্রতিবন্ধী আল আমিন এর মা’ সাফিয়া খাতুন, স্বামী ও ছেলের জন্য মানুষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার চাইতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান সেই মা।
এই রকম হতভাগ্য জীবন নিয়ে তাদের বড়ভাই শুক্কুর আলী জানান, অর্থ সংকট মাথায় নিয়ে প্রতিদিন ভোরে তাদের ঘুম ভাঙে। তাদের পরিবারে রোজগার করার মতো আর কেউ নেই। অর্ধাহারে-অনাহারে তাদের দিন কাটে। সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা সু-দৃষ্টি দিলেই তাদের পরিবারটি বাঁচতে পারে। তিনি বলেন একবেলা খেলে অন্যবেলা উপোস থাকতে হয়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুই বেলা খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার আকুল মিনতি বড়ভাই শুক্কুর আলীর। তারা বলেন প্রতিবন্ধী ভাতা ও মিলছেনা তাদের।
তবে সরকারি ও কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতা পেলে প্রতিবন্ধী দের পরিবার কোনোমতে বেঁচে থাকতে পারবে বলে জানান তিনি। এই পরিবারটির প্রতি আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়াতে চাইলে এ ঠিকানায় পাঠানো যাবে- বিকাশ নম্বরঃ- ০১৯৫৩৪৯৪২৪৮ ।