নিজস্ব প্রতিবেদক:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চরচারতলা মৌজায়, জমি ও মৎস্য প্রকল্প জোরপূর্বক বালু ভরাট ও দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে।ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির পাশাপাশি সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিও তারা বালু দিয়ে ভরাট করার চেষ্ট চালাচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষক ও মৎস্য জীবিরা অভিযোগ করেছেন।রবিবার সকালে অবৈধ ভাবে কৃষি জমি ভরাট ও দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে এসব অভিযোগ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী কৃষক ও মৎস্যজীবি পরিবারের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর ৬৩ জনের স্বাক্ষরিত স্বারকলিপি পেশ করেন। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী কৃষক ও মৎস্যজীবিরা বলেন, প্রায় ২৯ একর জমি বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু নির্মাণ কালে এই জমিগুলো খুব স্বল্প মূল্যে আমাদের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করেছিল। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে ব্যক্তি মালিকানা এবং আশুগঞ্জ সার কারখানার প্রায় ৩৫ একর ফসলি জমি।
ভুক্তভোগীরা আরো বলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজ শেষ হওয়ার পর সেই পরিত্যক্ত জমি গুলোতে আমরা ফের চাষাবাদ করে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্ভর করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা বলেন,কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা,মীর আক্তার জয়েন্ট ব্রাঞ্চারের সংরক্ষিত স্ট্যাক ইয়ার্ড নামে আমাদের ফসলি জমি ও মৎস্য খামার, জোরপূর্বক বালু ভরাট ও দখলের বিভিন্ন ভাবে পায়তারা করছে। এলাকাবাসী,কৃষক ও মৎস্যজীবীরা আরো বলেন এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর ও স্থানীয় নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আমরা অভিযোগ করেছি।
আমাদের দাবি আদায় না হলে,পরবর্তীতে আমরা কঠোর কর্মসূচি হাতে নেব। তবে এ বেপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন,আমরা কৃষকদের অভিযোগ পেয়েছি,ফসলি জমি ও মৎস্য খামার জোরপূর্বক বালু ভরাট ও দখলের কোনো নিয়ম নেই,কৃষকরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে, আমরা তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।