চাঁদপুর প্রতিনিধি:: হত্যার প্ররোচনা ও সহায়তার অপরাধে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনায় পুলিশ সজিব ও মামলার এজহারভুক্ত ৮নং আসামী রাব্বানী কে আটক করেছেন। বুধবার ২৪ আগষ্ট দুপুরে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন কে আসামী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন নিহত হাসান ছৈয়ালের পিতা শরীফ ছৈয়াল। যার নং- ৬০, ২৪/৮/২০২২ইং। মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, নিহত হাসান ছৈয়াল রাজমিস্ত্রীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
২৩ আগষ্ট ভোরে আসামীরা বাসার সামনে এসে জানায়, হাসান ভোর বেলা পার্শবর্তী ভাড়াটিয়া স্বপনের ঘরে প্রবেশ করে মোবাইল সেট চুরি করেছে। এ সময় হাসান তার নিজ ঘরে ঘুমাইতেছিল। পরে আসামীরা ঘুমন্ত হাসানকে ঘর থেকে টেনা হেচড়ে বের করে এবং মোবাইল ফোন চুরি করেছে বলে অপমান করে। এক পর্যায়ে উল্লেখিত ও অজ্ঞাত আসামীরা হাসানকে মারধর করে রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। হাসান চুরি করে না বলে তাদের কে জানালে তারা পুনরায় তাকে মারধর করে এবং তার রশির বাঁধন খুলে ঘরের মধ্যে রেখে বাহির দিয়ে দরজা আটকে দেয়।
পরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে হাসান ছৈয়াল সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। চাঁদপুর সদর মডেল থানার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই উপ-পরিদর্শক) মোঃ শাহজাহান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত হাসানের পিতা শরীফ ছৈয়াল জানান, আমার ছেলে চুরি না করা সত্ত্বেও তারা আমার ছেলেকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপমান অপদস্ত করে। আমি আমার একমাত্র ছেলে হত্যার বিচার চাই। চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্য আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রসঙ্গত, চাঁদপুর শহরের উত্তর বিষ্ণুদী শামু গাজী বাড়ীর মালিকানাধীন গাজী মঞ্জিলে ২৩ আগষ্ট সোমবার দুপুরে হাসান ছৈয়াল নামের এক রাজমিস্ত্রি মোবাইল চুরির অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে। ঘটনার খবর শুনে ছুটে আসেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন, চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, এসআই (উপ-পরিদর্শক) মোঃ শাহজাহানসহ সংঙ্গীয় সদস্যরা। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।