চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি:: চাঁদপুর জেলায় অন্য ফসলের পাশাপাশি আখের আবাদ করে আসছে কৃষকরা। বিশেষ করে ‘চাঁদপুর গেন্ডারি’ নামে আখ খুবই জনপ্রিয়। এ বছর জলাবদ্ধতা ও ছত্রাক রোগের কারণে আখ আবাদ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকরা আখের সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
তবে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার বিষয়ে তারা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে এ বছর চিবিয়ে খাওয়া ‘চাঁদপুর গ্যান্ডারি’ নামক আখের আবাদ হয়েছে ৬৪০ হেক্টর জমিতে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, নদী উপকূলীয় জেলা চাঁদপুরে কৃষি আবাদের জন্য অন্যতম। চাঁদপুর সদরসহ উপজেলাগুলোতে কম বেশী আখের আবাদ হয় প্রতিবছরই। বিশেষ করে জেলার দু’টি সেচ প্রকল্পে ‘মেঘনা ধনাগোদা’ ও ‘চাঁদপুর সেচ প্রকল্প’ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা কম থাকায় আখের বেশী আবাদ হয়।
এ বছরও চিবিয়ে খাওয়া ‘চাঁদপুর গ্যান্ডারি’ নামক আখের আবাদ হয়েছে ৬৪০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে কৃষকরা তাদের আখ কর্তন করতে শুরু করেছেন। অবার অনেক কৃষক নিজেই ক্ষেত থেকে আখ কেটে বাজারে বাজারে বিক্রি করেন। বড় বড় জমিগুলোর আখ ব্যবসায়ীরা এসে ক্ষেতের মধ্যে দাম দর করে ক্রয় করেন। এসব আখ চাঁদপুর জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, নোয়াখালিসহ আরো কয়েক জেলায় নিয়ে বিক্রি করা হয়। চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে ভ্যানগাড়ী করে আখ বিক্রি করতে দেখাগেছে।
প্রতিপিচ আখ বিক্রি হচ্ছে ২০-৫০টাকা করে। আবার সাইজে বড় হলে আরো বেশী দামে খুচরা বিক্রি হয়। বালিয়া ইউনিয়নের কৃষক আবদুস সোবহান জানান, জলাবদ্ধতা ও ছত্রাক নামক রোগে আখের ক্ষতি হয়েছে। জমিগুলোতে এখনো জলাবদ্ধতা। কি করবো বুঝতে পারতেছি না। লক্ষীপুর ইউনিয়কের কৃষক জহির হাওলাদার জানান, কৃষি বিভাগ থেকে কোন পরামর্শ দিতে আসেনি। আখ বিক্রি করার উপযোগী হলেও এখন পর্যন্ত বেপারীরা আসছে না। সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় আছি।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, এ বছর চাঁদপুর জেলায় চিবিয়ে খাওয়া আখের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলে ৬২০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৬৪০ হেক্টর। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। জলবাদ্ধতা ও ছত্রাক জাতীয় রোগ থেকে রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।