ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর গ্রামে সরকারি খাল ভরাট করে অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ উঠেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ খালটি রক্ষায় জনস্বার্থে ওই এলাকার মৃত ইয়াকুব মিয়ার ছেলে মো.আওয়াল মিয়া ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার হরিপুর গ্রামের শত শত ঘরবাড়ির পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে এই খালে। খালটি জনসাধারণের এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও কৃষিকাজের জন্য খুবই গুরুত্ব বহন করে।
সম্প্রতি ওই এলাকার মৃত আঞ্জব আলীর ছেলে প্রভাবশালী কাপ্তান মিয়া সহ আরও বেশ কয়েক জনে অবৈধভাবে তিতাস নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে জনচলাচলের রাস্তা ও খালের একাংশ ভরাট করে জনস্বার্থের পরিপন্থী কার্য্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে। অভিযোগে বলা হয় কাপ্তান মিয়ার বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।এছাড়াও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ফসলি জমি সহ নয়াগাং নদীর পাড়ের মাটি কেটে ব্রিক ফিল্ডে বিক্রি করছে,এমন অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হরিপুর গ্রামের মো.আওয়াল মিয়া,নুর ধন মিয়া ও সামসুল ইসলাম সহ আরও অনেকেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বাসিন্দারা জানান,প্রভাবশালী কাপ্তান মিয়ার অপকমের্র বিরুদ্ধে এলাকায় কোন নিরহ মানুষ মুখ খোলতেপারেন না।
এলাকার সচেতন মহল তাদেরকে বাধা নিষেধ করা সত্বেও তারা খাল দখল ও কৃষকের ফসলি জমির মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান ভুক্তভোগিরা। এ ব্যপারে অভিযুক্ত কাপ্তান মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন খালটি আমি একা ভরাট করিনি আরও কয়েক জনেই ভরাট করিতেছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন।আর ফসলি জমি সহ নয়াগাং নদীর পাড় কেটে মাটি ব্রিক ফিল্ডে বিক্রি করার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন এ বেপারে আমি কিছু জানিনা। এ বেপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ুএদিকে এলাকাবাসী জনগুরুত্বপূর্ণ খালটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।