স্টাফ রিপোর্টার:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ইজারার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মেঘনা নদীতে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হরা হয়। প্রতিদিন প্রায় ২০টি ড্রেজার দিয়ে নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এমনকি সুযোগ বুঝে ড্রেজার লাগিয়ে মেঘনা চরের ফসলি জমি পর্যন্ত কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে করে চরে ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টির পাশাপাশি তীরবর্তী চরলালপুর গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার বিকেলে লালপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মেঘনা নদীর তীরে মানববন্ধন শেষে নারী পুরুষ মিলিত হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে, লালপুর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু সোহাষ দাস চৌধুরীর বাড়িতে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাবু সোহাষ দাস চৌধুরী. আওয়ামী লীগ নেতা এস আলম, লালপুর ইউপি, সদস্য লিটন দাস, সত্য রঞ্জন দাস, ইউপি, সদস্য প্রমথ দাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিকিল দাস,কৃষ্ণ রঞ্জন দাস,দেবাশীষ দাস সোহেল,বীরেন্দ্র দাস,সাইফুল ইসলাম রাহিম, সমীর দাস, ছাত্রলীগ নেতা প্রমিত, দিলশাদ আহমেদ,বিনোদ দাস, সুমন দাস সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় সমাবেশে বক্তারা বলেন দ্রুত ভালু উত্তোলন বন্ধ না করলে,পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার লালপুর বাজারের কাছে মেঘনার চর ঘেঁসে ২০টি ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে,সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন,এভাবে চর ঘেঁসে বালু উত্তোলন করতে থাকলে খুব অল্প সময়েই লালপুর বাজার নদীগর্ভে বিলীন সহ তীরবর্তী গ্রাম হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বালু মহালের ইজারাদার মেসার্স মৌসুমী ড্রেজিং সার্ভিসের স্বত্বাধিকারি মোশারফ হোসেন মিন্টু বলেন, আমরা ড্রেজারগুলিকে আমাদের নির্ধারিত সীমানার মধ্যে থাকার নির্দেশ দিয়েছি।এ ব্যাপারে আশুগঞ্জের সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা সারমিন বলেন, ইজারাদাকে বালু মহালের নির্ধারিত সীমানার মধ্যে বালু উত্তোলনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।