রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নির্মাণাধীন ১ লাখ ৫ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক স্টিল রাইস সাইলোর প্রকল্প এলাকা পরির্দশনে এসে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, এই বিষয়ে আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেনেছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। এগুলোর সাথে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্মাণাধীন ১ লাখ ৫ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক স্টিল রাইস সাইলোর প্রকল্প কাজে ধীরগতির বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, করোনা অতিমারিতে প্রকল্পের কাজ অনেকটাই বাধাগ্রস্থ হওয়ার কারনে পিছিয়ে গেছে আমাদের এই প্রকল্পের কাজ। বারবার পিছিয়ে যাওয়ার কারনে ব্যয় বাড়ছে না। ব্যয় ঠিক রেখে শুধু সময়টা বাড়ানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে কাজ শুরু হয় প্রকল্পটির।
এ সময় আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের পরিচালক মো. রেজাউল করিম শেখ বলেন, ২০২৮ সালের এপ্রিলে ৫০৪ কোটি টাকা ব্যায়ে ১ লাখ ৫ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক স্টিল রাইস সাইলো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তিনবার প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। গত বছর এই সময়ে কাজের অগ্রগতি ছিল ৭৩ শতাংশ। আর বর্তমানে কাজের অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। এক বছরে কাজের অগ্রগতি না হওয়ার নানান কারণ ছিল। এর মধ্যে ঠিকাদারের আর্থিক সমস্যা, করোনার প্রভাব সহ নানা সমস্যা ছিল। তবে বর্তমানে পুরোদমে কাজ চলছে। ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে।
আধুনিক স্টিল রাইস সাইলোর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময়, খাদ্য মন্ত্রনালয়ের মহা পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকারিয়া মুস্তফা, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস, আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. নিজামুল ইসলাম প্রমূখ।