ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইস্কনের একজন বহিষ্কৃত নেতা। তার নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসর হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিলেন- উল্লেখ করে সনাতন হিন্দু সমাজকে বিভ্রান্ত না হবার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুন দে।গত রোববার রাত সাড়ে ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর মহর্ষি মনমোহন দত্তের দয়াময় আশ্রমের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহবান জানান। তার আগে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ফিতা কেটে মক্কা রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এন তরুন দে আরো বলেন, বিগত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অনিবার্য গণ-অভ্যুত্থানের পর পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছিল। এ দুর্যোগ সময়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম ও মাদরাসার ছাত্ররা আমাদের ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিয়েছে। দেশপ্রেমিক মুসলিম বন্ধুরা আমাদের পাশে দাড়ানোর কারণেই তাদের এ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে তারা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মাঠে নামিয়েছিল। তিনি ইস্কনের একজন বহিষ্কৃত নেতা। তার নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসর হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন আমি এমপি,হতে না পারলেও সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
এস এন তরুন দে আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন। বারবার হিন্দুদের ভোটে ক্ষমতায় গেলেও আওয়ামী লীগ কখনো হিন্দু সমাজের বন্ধু ছিল না। তাদের নেতা প্রয়াত শেখ মুজিবুর রহমান রমনা কালি মন্দির দখল করে আমাদেরকে শ্মশানঘাটে গিয়ে পূজা অর্চনা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। হিন্দুদের প্রায় ২১ হাজার বিঘা জমি আওয়ামী লীগ নেতারা দখল করে নিয়েছে। তিনি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
দয়াময় আশ্রমের সভাপতি প্রমথ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম চৌধুরী।এসময় লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি জামাল মিয়া ও বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান,মক্কা রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম রাহিম,পরিচালক সাদ্দাম হোসেন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিগণ উপস্থিত ছিলেন।