মো: আব্দুল হান্নান:: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনার পর শিশুটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে শিশুর পরিবার ও স্থানীয় সৃত্রে জানা গেছে।৪ আগস্ট ২০২২ ধর্ষণের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত মোবারক মিয়া (১৬)।
মোবারক উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের লিচু মিয়ার ছেলে। শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশে স্থানীয় মক্তবের কাছে খেলাধুলা করছিল শিশুটি। এ সময় শিশুটিকে একা পেয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত মোবারক।
এ সময় শিশুটিরচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে দেখে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় মোবারক। পরে শিশুটিকে তার পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে প্রথমে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপতালে প্রেরণ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, মোবারক এর আগেও পার্শ্ববর্তী ধনকুড়া গ্রামের একটি ছাগলকে বলাৎকার করার পর একজন মুফতির নির্দেশে ছাগলের মালিককে ১২ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ও ছাগলটিকে জবাই করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
শিশুটির মা জানান, আমার মেয়েকে একা পেয়ে মোবারক ধর্ষণ করেছে। মেয়েকে নিয়ে আমরা হাসপতালে আছি। আমরা নিরীহ মানুষ, আতঙ্কে সময় পার করছি। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছে শিশুটির পরিবারের লোকজন সহ স্থানীয়রা।ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত মোবারকের পিতা মোঃলিচু মিয়াকে একাধিক ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। স্থানীয় ইউপি সদস্য চিত্ত রঞ্জন দত্ত জানান, এ ঘটনাটি আমিও শুনেছি। শিশুটি বর্তমানে হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিশুর পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। তারা আসলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লা সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি। এখনো আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। আমারা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।