ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:: একবছর বন্ধ থাকার পর আবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ভারতীয় কলকাতা থেকে ৯৫৮ টন স্টীল রড পণ্য নিয়ে আসা এমভি ভুলকার-১ জাহাজ হইতে আশুগঞ্জ বন্দরে পণ্য খালাস শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। আশুগঞ্জ বন্দর হয়ে সড়কপথে আখাউরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে এই পণ্য। দেশীয় বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।খোজ নিয়ে জানা যায়,গত বছরের জানুয়ারিতে ভারতীয় কয়লাবাহী জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে আসে এবং আশুগঞ্জ বন্দর হয়ে সড়কপথে আখাউরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এসব পণ্য পরিবহন করা হয়। গত একবছর পর আশুগঞ্জ নৌবন্দর দিয়ে পূণরায় ভারতীয় পণ্য পরিবহন শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত শনিবার সন্ধায় টাটা কোম্পানির ৯৫৮ মেট্রিক টন স্টীল রড নিয়ে ভারতীয় জাহাজ এমভি ভুলকার-১ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙড় করে। ভারতীয় টাটা কোম্পানির তৈরি ও ত্রিপুরা রাজ্যের এস,এম কর্পোরেশনের এইসব মালামাল দেশীয় ঠিকাদারি পরিবহন প্রতিষ্ঠান ইসলাম ব্রাদার্স এর মাধ্যমে পরিবহন করছে বলে জানা যায়। সরকারি আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার সকালে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে পণ্য খালাস করে বিকালে সড়ক পথে আখাউরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় পৌছানো জন্য ৩টি ট্রাকে করে প্রায় ৮০টন স্টীল বার পণ্য রওয়ানা দিয়েছে । বাংলাদেশ -ভারত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রম ও বাণিজ্য প্রটোকল চুক্তির আওতায় এসব পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ জানায়।
টাটা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার দায় পান ভট্রাচার্য জানান, নদী পথে খরচ কম হওয়ায় টাটা কোম্পানির এই পণ্য কলকাতা থেকে আশুগঞ্জ নৌবন্দর হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইনডু বাংলা ট্রেডিং কর্পোরেশনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, পরিক্ষামূলক ভাবে ভারতীয় এই পণ্য কলকাতার হলদিয়া বন্দও থেকে আশুগঞ্জ বন্দর ট্রাকে করে সড়ক পথে আখাউরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়া হবে। আর এই সব পণ্য দেশীয় ঠিকাদারি পরিবহন প্রতিষ্ঠান ইসলাম ব্রাদার্স সম্পূর্ণ তদারকি করবেন। দেশীয় ঠিকাদারি পরিবহন প্রতিষ্ঠান ইসলাম ব্রাদার্স এর মালিক মোঃ আলাল শাহ জানান, টাটা কোম্পানির এই স্টীল পণ্য পরিবহন করছি। ভারতের ত্রিপুরা পর্যন্ত পেীছে দেয়া আমাদের কাজ।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উপ পরিচালক রেজাউল করিম জানান, নৌবন্দরে জাহাজ অবস্থানকালীন সময়ে দৈনিক ৩১৫ টাকা হারে বাজিং চার্জ ও টনপ্রতি ৩৪ টাকা হারে ল্যান্ডিং এন্ড শিপিং চার্জ, ১০ টাকা হারে তদারকি চার্জ প্রদান করবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত কোন চার্জ প্রদান করা হবে কি না তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ।