ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আড়াইসিধা কাদির ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে নিয়োগ জালিয়াতি ও তহবিলের বিপুল পরিমানের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ আরও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়ার স্বাক্ষরে।
অভিযোগকারী হলেন-বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া। পরে প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ,অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া। অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষকের কাছে বিদ্যালয়ের টাকা থাকা সত্ত্বেও গত ৩ মাস ধরে অন্যান্য শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়নি। বেতন চেয়ে অনেক শিক্ষক তার হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফ উদ্দিন গত ৩১/০৫/২০২৪ ইং তারিখে বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর ৪জন কর্মচরী নিয়োগ দিয়ে বিপুল পরিমানের টাকা আত্মসাত করেছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফ উদ্দিন বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের কয়েকজন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে তিনি দাবি জানান।বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া,বিদ্যালয়ের সহকাররি প্রধান শিক্ষক মোঃ হারিছুর রহমান ও পরিচালনা পরিষদের সদস্য মোঃ শরিফ উদ্দিন জানান, প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা রয়েছে,এবং ২০১৭ সালে দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়ে ছিলেন তিনি।
তাকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও তিনি বিদ্যালয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে তার হাতে রেখেছেন তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদকে হিসাব না বুঝিয়ে বিভিন্ন ভাবে তালবাহা করছে। তারা আরও বলেন প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় বিদ্যালয়ের অফিসের আলমারির চাবী সহকারী প্রধান শিক্ষক এর কাছে না থাকায় বিদ্যালয়ের নানা কাজে বিঘ¥ ঘটছে। তারা আরও বলেন এ ধরনের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে থাকলে শিক্ষার মান ধ্বস হয়ে যাবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখ যায় প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফ উদ্দিনের উপর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষর্থীদের অভিভাবক সহ এলাকাবাসীর ক্ষোভবিরাজ করছে।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শওকত আকবর খান বলেন,তিনি এ বিষয়টি জানেন তবে তিনি লিখিত কোনো অভিযোগ পাননি। তবে জেলা প্রশাসকে জানানো হয়েছে তিনি তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন বিষয়টি উনার নজরে এসেছে কেউ যদি সুনির্দিষ্ট ভাবে লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে তিনি এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন।