ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী, ওবায়দুল কাদের এমপি বিএনপির নেতৃবৃন্দকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, এখনই শুরু হয়েছে গেছে মনোনয়ন বানিজ্য। কাকে কাকে মনোনয়ন দিবে। মনোনয়নের কথা বলে বস্তায় বস্তায় টাকা নিচ্ছেন। তারেক জিয়া বস্তায় বস্তায় টাকা সুইস ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। তাদের এই বানিজ্যের বিরুদ্ধে খেলা হবে, খেলা হবে আন্দোলনে, খেলা নির্বাচনে। তাদের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ।
দীর্ঘ ৮ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকারীদের সাথে না থাকতেন, তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাহস হতো না। জিয়াউর রহমান খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন। এই জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করতে আইন সংশোধন করেছিল।১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান, আর ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমান।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। তিনি বলেন,জিয়া মোশতাক ফারুক রশিদ বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত।তারা ছিল পাকিস্তানের এজেন্ট। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্থান বানাতে চেয়েছিল কিন্তু এদশের জনগন তা হতে দেয়নি।আওয়ামীলীগ জনগনের দল। এদল পালাবেনা তিনি বলেন,২১ আগষ্ট হামলার নায়ক ছিল তারেক রহমান।তারেক বাংলাদেশে আসতে চায়। আমরাও চাই আসুক। তাকে ৩৭ বছর সাজা খাটার ব্যবস্থা করব।তারেক রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে। বিএনপি খুনী ওসন্ত্রাসের দল। তাদেরকে বিশ্¦াস করবেন না।
এছাড়াও সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি’র সভাপতিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও পূর্নবাসন সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান এমপি, এ্যারোমা দত্ত এমপি প্রমুখ। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের এমপি ক্যাপ্টেন অবঃ তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের এমপি ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের এমপি এবাদুল করিম বুলবুল ।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।
সম্মেলন শেষে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে পুনরায় র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সেক্রেটারী হিসেবে পুনরায় আলমামুন সরকারের নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি।